শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৭ অপরাহ্ন
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা (ঘটকেরচর) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক নুরে আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্ণীতির সংবাদ গনমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। ১ সেপ্টেম্বর প্রেরেরিত ওই চিঠিতে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আনিত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হলেও গত ১মাসেও তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিথিকা সরকার।
মাঠপর্যায়ে তদন্তে চাকরি দেওয়ার কথা বলে একাধীক ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া, বিদ্যালয়ে না এসে হাজিরা বহিতে ৮ মাসের স্বাক্ষর এক দিনে দেওয়া, বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ ,বিদ্যালয়ে হিন্দি ও অশ্লিল সংস্কতি চর্চার মত ভয়াবহ অপরাধের সত্যতা পেলেও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস মিমাংসার অজুহাতে অদৃশ্য শক্তির ইশারায় তদন্ত রিপোর্ট দিতে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের মধ্যস্থতায় প্রধান শিক্ষক নুরে আলম চাকরি প্রত্যাশি একজনের ২ লক্ষ টাকা ফেরত দিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
প্রধান শিক্ষক নুরে আলম স্থানীয় পর্যায় মিমাংশা কথা বলে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের না ঘাটার জন্য অনুরোধ করেন।
মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিথীকা সরকার বলেন, অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জেলায় পাঠাবো। তবে প্রধান শিক্ষক নুরে আলমের চাকরি মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায় তাই স্থানীয় পর্যায় মিমাংশা না হলে তাকে খালি হাতে ফিরতে হবে। উলেখ্য বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা (ঘটকেরচর) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরে আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগের হিরিক উঠেছে। নিয়োগ বানিজ্য, বরাদ্দ কৃত টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ে অনিয়মিত, সার্টিফিকেট বানিজ্য, পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে হাজিরা বহিতে স্বাক্ষরসহ প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে এলাকাবাসী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ।
অভিযোগ সুত্রে জানযায়, প্রায় ১০ বছর আগে আরিজা কালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে করনিক পদে চাকরি করতেন তিনি। বিভিন্ন জালজালিয়াতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক বনে যাওয়া মোঃ নুরে আলম বর্তমানে বিদ্যালয়টিকে সাইনবোর্ড বানিয়ে অবৈধ উপার্জনে ব্যস্ত সময় পার করছে। অফিস সহকারি পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ৪/৫ জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কয়েক দফায় নিয়োগ দিতে তাল বাহানা শুরু করেন তিনি। এছাড়াও লাইব্রেরিয়ান ও দপ্তরি পদে চাকুরির কথা বলেও কয়েকজনের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানিয়রা। চাকুরি প্রত্যাশিদের চাপের মুখে গত জানুয়ারি থেকে বিদ্যালয়ে আসা প্রায় ছেড়ে দেন। গত ৮ই আগষ্ট কৌশল গত ভাবে এয়ারপোর্ট থানায় একটি অভিযোগ করে পুলিশ নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা বহিতে প্রায় ৮ মাসের স্বাক্ষর করেন তিনি।
বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অবগত রয়েছেন। বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কাজের অজুহাতে দিনের পর দিন অন-উপস্থিত থাকেন তিনি। এদিকে বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য দুদক থেকে বরাদ্দ কৃত ৩৭৫০ টাকা আত্বসাৎ করায় ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা। জানা গেছে দূর্নীতির টাকায় বরিশাল নগরির কাউনিয়ায় কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছেন এই বির্তকিত শিক্ষক। একজন অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে ওই বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেনি পাশ করেছে। অথচ ৮ম পাশের সার্টিফিকেট আনতে গেলে অফিস খরচ বাবদ ৫০০টাকা আদায় করে।
Leave a Reply